Follow Us @soratemplates

Monday, December 10, 2018

চলুন জেনে নেই মোবাইল ফোন কাভারের খুটিনাটি

December 10, 2018 0 Comments
বর্তমানে আমাদের নিত্যদিনের সংগি হিসেবে ব্যাবহৃত সব চেয়ে বেশি যে ডিভাইস রয়েছে তার মধ্যে একটি হলো মোবাইল ফোন। কমবেশী আমরা সবাই চাই আমাদের হাতের ফোন টি যেন নামি দামি কোনো ব্রান্ড এর হোক। এক্ষেত্রে কেও সাধ পূরন করতে পারে , কেও পারেনা ৷ তবে ফোন যে ব্রান্ড এর ই হোক না কেন, ফোনকে পোশাক পড়িয়ে আমরা একে করে তুলতে পারি সুন্দর ও আকর্ষণীয়। 😍😍নিশ্চয়ই ভাবছেন মোবাইল ফোনের পোশাক!! এ আবার কেমন কথা? 😲😲
হ্যা মোবাইল ফোনের পোশাক। 😌😌 সুন্দর সুন্দর ফোনের কাভার দিয়ে আমরা ফোনকে পোশাক পড়াতে পারি। 😘

ফোনের কাভার আমাদের ফোন কে যেমন ধুলা বালি ও ময়লা থেকে প্রতিরোধ করে থাকে তেমনি ফোনের সৌন্দর্য ও বৃদ্ধি করে থাকে। তাছাড়া একটি পারফেক্ট ফোন কাভার আপনার ও আপনার ব্যাক্তিত্বের উপরে কিছুটা হলেও প্রভাব বিস্তার করে থাকে ৷


ফোনের কাভার মূলত দু রকমের হয়ে থাকে।

১. ব্যাক কাভার







২. ফ্লিপ কাভার


ব্যাক কাভার ফোনের পেছনের সাইড কে আর ফ্লিপ কাভার সম্পুর্ন ফোন কে ঢেকে রাখে। সাধারনত প্লাস্টিক, সিলিকন, লেদার, রাবার এর মত উপাদান দিয়ে এ কাভার তৈরি হয়ে থাকে।এ কাভার আবার রঙ বে রঙ এর ডিজাইন এর হয়ে থাকে। যেহেতু মেয়েদের উদ্দেশ্য লিখা সেক্ষেত্রে তাদের জন্য; নানা রকমের সিনারি,কার্টুন ছবি, হ্যালো কিটি, পুতি, পার্ল ও স্টোন দিয়ে তৈরি কাভার গুলো অধিক জনপ্রিয়।

কোথায় পাবো ফোন কাভার?

ফোন কাভার আমরা আমাদের ব্যাবহৃত ফোন ব্রান্ডের দোকান থেকে সাধারনত পেতে পারি।
যদি এক্সপেন্সিভ কাভার কিনতে চাই তাহলে বসুন্ধারা সিটি, যমুনা ফিউচার পার্ক সহ বড় বড় শপিং মল গুলো থেকে নিতে পারি আমাদের পছন্দের ফোন কাভার টি আর যদি আরেকটু রিজেনেবল প্রাইজ এ নিতে চাই তাহলে মোতালেব প্লাজা থেকে নিতে পারি৷ এছাড়া ও আমরা আমাদের আসে পাশের ফোন এক্সসসরিজ এর দোকান গুলো থেকে ও পেতে পারি৷ তবে এর চেয়ে সস্তায় যদি নিতে চাই তাহলে সেক্ষেত্রে ঢাকার গুলিস্তান সব চেয়ে উল্লেখযোগ্য স্থান। সেখান থেকে আমরা যে কোন কোয়ালিটির ফোন কাভার ই খুব ই অল্প দামে নিতে পারব৷

এছাড়া যদি আমরা আমাদের ফোনের কাভার কে অন্য দের থেকে ইউনিক ও আলাদা রাখতে চাই তাহলে সেক্ষেত্রে বিভিন্ন রকমের কাগজ, পুতি-পাতি, পার্ল, লেইস বা স্টোন দিয়ে নিজেরাই নিজেদের ফোনের কাভার বানিয়ে ফেলতে পারি আমাদের পছন্দমত  ডিজাইনে ।


ফোন কাভার ব্যাবহার এ সতর্কতা

প্রতিটা জিনিস এর যেমন পজিটিভ সাইড থাকে তেমনি নেগেটিভ সাইড ও থাকে৷ সুন্দর একটি ফোনের কাভার ব্যাবহারে যেমন ধুলা বালি বা পড়ে গিয়ে ফোনের ক্ষতি হওয়া থেকে রক্ষা করে তেমনি অনেক ক্ষেত্রে এ কাভার ই হতে পারে বিপদ এর কারন। আর সে জন্য আমাদের সকলের ই সচেতন হওয়া উচিত।

আমরা সবাই জানি স্মার্ট ফোন ব্যাবহারে একটি নির্দিষ্ট সময় পর ফোনের তাপমাত্রা বেড়ে যায়৷ এতে ফোন গরম হয়ে উঠে। এই কভার ব্যবহারেরর ফলে মোবাইল ফোনের তাপমাত্রা বাহিরে বের হতে পারে না। বাহিরের বাতাসও মোবাইলের সংস্পর্শে আসতে পারে না। তাই ব্যাক কভার ব্যবহারের ফলে মোবাইলের টেম্পারেচার একটু বেশিই বেড়ে যায়। আর যখন তাপমাত্রা মাত্রাতিরিক্ত হয়ে যায় তখন ফোন ব্লাস্ট হয়ে মানুষ এর মৃতু পর্যন্ত হতে পারে।
তাই আমাদের যে সতর্কতা মেনে চলতে হবে তা হলো ঃ


১, স্বাভাবিক ভাবেই ফোনের কাভার কয়েক ঘন্টা পর পর খুলে রাখা যাতে সহজেই ফোন বাতাসের  
    সংস্পর্শে থাকতে পারে৷ এতে ফোনের তাপমাত্রা ওভার হয়ে ফোন গরম হয়ে যাওয়া থেকে কিছুটা
    রক্ষা করবে।

২, যখন ফোন গরম হয়ে উঠবে তখন ফোনের কাভার ফোন স্বাভাবিক তাপমাত্রায় না আসা পর্যন্ত
    থেকে খুলে রাখা৷

৩, যদি ফোন সব সময় ই গরম থাকে তাহলে ফোন কাভার ব্যাবহার করা থেকে বিরত থাকা।


 অতএব এসব সতর্কতা অবলম্বন করে আমরা পারি আমাদের ফোন কে ঝুঁকি হীন সুন্দর ও আকর্ষনি করে সাজিয়ে রাখতে।


Monday, December 3, 2018

১০ টি ব্যাগ যা আপনাকে করে তুলবে স্টাইলিশ

December 03, 2018 0 Comments
নিজেকে সবার থেকে ইউনিক এবং স্টাইলিশ হিসেবে প্রেজেন্ট করতে চাইলে চাই একটি ফ্যাশনেবল হ্যান্ডব্যাগ। কারন বর্তমান যুগে ব্যাগ বা পার্স শুধু প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র বহন এর ক্ষেত্রেই ব্যাবহার হয়না বরং ব্যাক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে ও বিশেষ ভুমিকা পালন করে থাকে। আর তাই পোশাক আর গন্তব্যের স্থান এর উপর ভিত্তি করে বেছে নিতে হয় মার্জিত একটি ব্যাগ। 

আর তাই তুলে ধরা হলো সেরা ১০ টি ব্যাগ যা আপনাকে করে তুলবে স্টাইলিশ।

১. শোল্ডার ব্যাগ ( Shoulder bag)
সব রকমের ব্যাগের মধ্যে শোল্ডার ব্যাগ সব চেয়ে বেশী উল্লেখযোগ্য । কাধে ঝোলানো এ ব্যাগ নিত্ত দিনের ব্যাবহারে অধিক জনপ্রিয়। যে কোনো জায়গায় যে কোন গেট আপ এ সহজেই মানিয়ে যায় এই ব্যাগ। 


২. স্যাচেল (Satchel)
কর্মজীবী নারীদের ক্ষেত্রে এ ব্যাগ সব চেয়ে বেশি উপযোগি। এ ব্যাগের ভেতর অধিক জায়গা থাকায় দৈনন্দিন ব্যাবহার্য প্রয়োজনীয় জিনিষ এর সাথে সাথে অফিসিয়াল কাজের জন্য ল্যাপ্টপ বা ট্যাবের জন্য আলাদা কোনো ব্যাগের প্রয়োজন হয়না। এক ব্যাগেই সব ক্যারি করা যায়। 

৩. স্লিং (Sling)
স্লিং ব্যাগ বা ক্রস বডি ব্যাগ ব্যাবহারের দিক থেকে যেমন অনেক বেশি কার্যকরি তেমনি স্টাইলিশ এবং ফ্যাশনেবল ও বটে। মাঝারি সাইজের এই ব্যাগ কাধে ঝুলিয়ে বহন করা হয় বিধায় কেনাকাটায় বা ভ্রমনে এ ব্যাগ দিবে আপনাকে স্বস্তি ও আরাম।

৪. রিস্টলেট (Wristlet)
রিসলেেট ব্যাগ অনেক টা পার্স এর মত করে হাতে ক্যারি করা হয়। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে বড় ব্যাগের মধ্যে ও ছোট খাটো খুটিনাটি জিনিস রাখার জন্য ও এ ব্যাগ ব্যাবহার করা হয়। আকারে এই ব্যাগ ছোট হয়ে থাকে। যারা বড় ব্যাগ ব্যাবহার করতে পছন্দ করেন না, রিলাক্স থাকতে পছন্দ করেন তাদের জন্য গরজিয়াস একটি রিস্টেল ব্যাগ ই হতে পারে নিত্ত দিনের সংগি।

৫. ক্লাচ (Clutch)
আকারে ছোট ও নানা রকম ছোট বড় জমকালো পাথর দিয়ে তৈরি এই ক্লাচ ব্যাগ। দেখতে কিউট ও সুন্দর এ ব্যাগ আপনি নিজের বিয়ের দিন সহ যে কোনো পার্টি তে ব্যাবহার করতে পারেন।এ ব্যাগ এর কোনো স্ট্রেপ বা ফিতা থাকেনা, চেইন থাকে। ফলে কাধে বা হাতে বহন করা হয়। যা সন্ধাকালীন পার্টিতে আপনাকে করে তুলবে আর ও গর্জিয়াস ও আকর্ষণীয়।

৬. ওয়ালেট (Wallet)
লেডিস ওয়ালেট শুধু মাত্র টাকা, ক্রেডিট কার্ড বা ডেবিট কার্ড, ভিজিটিং কার্ড ইত্যাদি ছোটখাটো জিনিস সংরক্ষন করে রাখার জন্য সব চেয়ে পারফেক্ট।আপনি যদি হাতে ব্যাগ ব্যাবহার করতে আগ্রহি না হন তাহলে আপনি এই ওয়ালেট ব্যাবহার করতে পারেন। বর্তমানে মেয়েদের লেডিস ওয়ালেট ব্যাবহার করা একটি ফ্যাশনেবল ট্রেন্ড হিসেবে আক্ষায়িত।

৭. কুইল্টেড (Quilted)
কুইল্টেড ব্যাগ হচ্ছে আইকনিক ব্যাগ যা সব রকম ব্যাগ থেকে সেরা, আকর্শনীয় এবং এক্সপেনসিভ। যাদের ব্যাগের প্রতি অনেক বেশি এট্রাকসন কাজ করে এবং ব্যাগের ফ্যাশনের প্রতি খরচ করতে আগ্রহ বোধ ও করে তাদের জন্য এই কুইল্টেড ব্যাগ। নানা রকম নামি দামি ব্যান্ডের কুইল্টেড ব্যাগ ফ্যাশনের দিক থেকে আপনাকে করে তুলবে সবার থেকে আলাদা।


৮. বওলার ব্যাগ (Bowler bag)
এটি একটি মিডিয়াম সাইজের ব্যাগ যার হাতল গুলা অন্যান্য ব্যাগের থেকে শর্ট হ্যান্ডেলের হয়ে থাকে। দেখতে অনেকটা গম্বুজ আকৃতির। ব্যাক্তিক্রম আকৃতির এ ব্যাগ অনেক ফ্যাশনেবল এবং মার্জিত ও বটে।


৯. টোটি ব্যাগ (Tote bag)
টোটি ব্যাগ শপিং এর ক্ষেত্রে ব্যাবহার হয়ে থাকলে ও ফ্যাশনের দিক থেকে এর ভুমিকা ব্যাপক। ক্যানভাস বা লেদার এর মত শক্ত উপাদান এ তৈরি এ ব্যাগ এর ভেতর বেশি জায়গা থাকায় বিভিন্ন জিনিষ পত্র একত্রে বহন করা যায়। এ ব্যাগ এর হাতল আকৃতিতে শর্ট মিডিয়াম এর হয়ে থাকে। ফলে সহজেই কাধে বহন করা যায়।

১০. ড্রস্ট্রিং ব্যাগপ্যাক (Drawstring bag pack)
বর্তমানে সকল বয়সি মেয়েদের মধ্যে যে ব্যাগ এর ব্যবহার অধিক হারে দেখা যাচ্ছে তা হলো এই ড্রস্টিং ব্যাগপ্যাক। পিঠে বা কাধে ঝোলানো এই ব্যাগ এর ভেতর প্রশস্ত জায়গা থাকায় স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটির মেয়েদের জন্য যেমন উপযোগী তেমনি স্টাইলিশ ও বটে। ওয়েস্টার্ন গেট আপ অথবা আবায়া/বোরকার সাথে এ ব্যাগ বেশী মানিয়ে যায়।

নারীর সৌন্দর্য আসলে কি?

December 03, 2018 0 Comments
নারী বলতেই আকর্ষনীয় এবং সুন্দর এর প্রতীক।আর সে সৌন্দর্য অনেকে খুঁজে চামড়ায়, অনেকে খুঁজে মনে। নারীর সৌন্দর্য বলতে আসলে কি বোঝায়? উজ্জ্বল গায়ের রঙ, অধিক উচ্চতা আর আকর্ষনীয় দেহ?




যদি আপনার ধারনা তাই হয় তাহলে আপনি ভুল ধারনা নিয়ে আছেন। কারন প্রতিটি মেয়ে ই জন্ম থেকে সুন্দর তার আপন সৌন্দর্যে। তার দেহের প্রতিটি অংশ, প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যাংগ সব কিছুই সৃস্টি করা হয়েছে অন্যের থেকে তাকে আলাদা প্রমান করার জন্য। সবাই যদি এক রকম হত তাহলে আমরা কারোও থেকে কারোর পার্থক্য করতে পারতাম না।


সৌন্দর্য গায়ের রঙ, উচ্চতা আর বাহ্যিক রুপ লাবন্যের পরিমান দিয়ে মাপা হয় না। সৌন্দর্য মাপা হয় তার ভেতর দিয়ে। যোগ্যতা ও গুনাগুন দিয়ে। তার জ্ঞান বুদ্ধি বিচার বিবেচনার ক্ষমতা এবং মন মানুষিকতা দিয়ে। তাই যে নারী যত বেশি এসব গুনে গুনী সে নারী তত বেশী সুন্দর।